27, Jul, 2020
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
মুহতারাম! আমরা অনেকেই পৃথিবীর ইতিহাসে ৩১৩ সংখ্যার বিশেষ গুরুত্ব ও ফযিলত সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানি। ইসলামের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ তাৎপর্যসমূহ হলো, বদর যুদ্ধে নবী করীম সা.-এর বাহিনীতে মুজাহিদ ছিলেন ৩১৩ জন। আল্লাহ পাকের প্রেরিত রাসূল সা. গণের সংখ্যা ৩১৩ জন। জালুত জালিম সরকারের বিরুদ্ধে নেককার বাদশাহ তালুতের সৈন্য সংখ্যা ছিলো ৩১৩ জন। লুত আ.-এর উদ্ধারে হযরত ইব্রাহীম আ.-এর সাথী ছিলেন ৩১৩ জন এবং শেষ যুগে ইমাম মাহদী আ.-এর মূল সৈন্য সংখ্যা হবে ৩১৩ জন।
এই বরকতপূর্ণ সংখ্যা অনুসরণে আমরাও ‘জামিয়া তা’লীমুল কুরআন সিলেট’কে টিকিয়ে রাখা এবং এর ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে ৩১৩ জন আজীবন সদস্যের একটি জামাত গঠনের (আসহাবে বদর কাফেলা) প্রয়াস পাই।
নিয়মাবলী:
১. ইসলামী শিক্ষার ব্যাপক উন্নতি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে এবং একমাত্র আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির নিয়তে নির্ধারিত নিয়মে সদস্য/ সদস্যা হওয়ার আবেদন করবেন।
২. পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং পরকালবাসী মা-বাবার মাগফিরাতের আশায় সদকায়ে জারিয়া হিসেবে তাদেরকেও সদস্য/সদস্যা করা যাবে।
৩. বছরে সর্বনিম্ন ১০০০/- (এক হাজার) টাকা [প্রবাসীদের জন্য একশত পাউন্ড, ডলার, রিয়াল, দিরহাম ও রিংগিত] পরিশোধ করবেন। সামর্থ্যবানরা ইচ্ছানুযায়ী সর্বোচ্চ যে কোন পরিমাণ দান করতে পারবেন।
৪. প্রত্যেককে লাইফ মেম্বার হিসেবে একটি “সদস্য সার্টিফিকেট” প্রদান করা হবে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে (www.anjumanbd.org) সদস্যদের পূর্ণ নাম ঠিকানা সংরক্ষণ এবং ৩১৩ জন সদস্যদের নিয়ে একটি ‘সদস্য পরিচিতি’ বই প্রকাশ করা হবে।
৫. বছরে একদিন সদস্য সমাবেশে উপস্থিত হয়ে জামিয়ার সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন।
আলহামদুলিল্লাহ। বরকতময় এই কাফেলায় ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশ হতে ১৩২ জন সদস্য (মহিলা ও পুরুষ) হয়ে গিয়েছেন। আশা করছি, আগামী একমাসের মধ্যে কোটা পুরণ হয়ে যাবে। আমরা আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি মুবারক এ কাফেলায়। আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের একজন একনিষ্ট খাদেম হিসেবে কবুল করুন। ৩১৩ কাফেলার সকল সদস্যকে কেয়ামতের ময়দানে বদরিন সাহাবীদের সাথে তাঁর রহমতের সামিয়ানায় জায়গা করে দিন। আমীন।
আরজগোজার
মাওলানা ইমদাদুল হক
মুহতামিম, জামিয়া তা’লীমুল কুরআন সিলেট
+88 01711067163
jamiatalimulquransylhet@gmail.com